Birth of
the Legend
On the brisk morning of Sunday, December 1st, 1919,
Abdul Ghani was born into the 'Poju' clan in Borobari, a village within
Nagaish, under the Brmanpara Upazila of Comilla district, encapsulating a life
set against the backdrop of rural simplicity and the daunting challenges of an
era devoid of modern conveniences.
He was strong and survived the harsh conditions of
that period, but painfully lost his loving mother when he was two and a half
years old. This environment, pristine yet harsh, lacked the amenities of
contemporary life but was rich in the freedom to shape one's destiny, mirroring
the unfettered essence of nature itself. Ghani's early years were intertwined
with this natural setting, offering him the liberty and relentless trials that
honed his innate character strengths.
This broke the heart of his father, who did not
agree with the idea of remarriage. However, seeing the condition of Ghani
growing up without a mother’s care, and under the pressure of relatives, he
remarried. Although Ghani was his father’s only and beloved son, he was more
attached to his uncle’s family nearby, whose members were mostly close to his
age, filling his life with companionship coming.
His name, Ghani, symbolizing prosperity,
self-sufficiency, and independence as referenced in the Quran, foretold the
impactful life he was to lead. Despite the convention that would have his
surname as Ali, after his father Maulana Sharafat Ali, he was aptly named
Ghani, embodying the qualities that would define his legacy. Ghani's resilience
was tested early on, with the profound loss of his mother at the tender age of
two and a half, a tragedy that deeply affected his father, who was initially
resistant to the idea of remarriage. Yielding to the pressures of family for
the sake of his son's well-being, his father eventually remarried.
Though the sole child and cherished son of his
father, Ghani found a surrogate family in his uncle's home, where he formed
close bonds with cousins of similar age. His upbringing was significantly
influenced by his uncles, affluent landlords, who immersed him in the richness
of rural life, filled with stories and experiences that shaped him. This
setting, devoid of modern comforts yet abundant in natural freedom and the
constant struggle for betterment, forged Ghani's inherent qualities of
leadership and resilience.
এক কিংবদন্তির জন্ম
১৯১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর, রোববারের এক সজীব সকালে, আবদুল গনি কুমিল্লা জেলার ব্রমনপাড়া
উপজেলার নাগাইশ গ্রামের বরবাড়িতে 'পজু' বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবন এক প্রাকৃতিক পরিবেশের পটভূমিতে শুরু হয়, যা ছিল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাহীন কিন্তু ছিল মুক্তভাবে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলার
এক বিরল স্বাধীনতা।
তিনি ছিলেন দৃঢ় চরিত্রের
অধিকারী এবং সেই কঠিন সময়ের প্রতিকূল পরিবেশ টিকে ছিলেন। তবে মাত্র আড়াই বছর
বয়সে তিনি তার প্রিয় মাকে হারান, যা তার জীবনে এক গভীর
শূন্যতার সৃষ্টি করে। সে সময়ের পরিবেশ ছিল প্রাকৃতিক এবং নির্মল, কিন্তু একাধিক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হত। এই পরিবেশই তার চরিত্রের ভিত
গড়ে তোলে এবং তাকে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়।
এই শোক তার পিতার হৃদয়
ভেঙে দেয়। তিনি পুনরায় বিয়ের বিষয়ে সম্মত ছিলেন না। তবে ছোট গনি মাতৃহীনভাবে বেড়ে ওঠার কষ্ট এবং আত্মীয়স্বজনের চাপে তার পিতা পুনরায়
বিয়ে করতে বাধ্য হন। যদিও গনি ছিলেন তার পিতার
একমাত্র সন্তান এবং অত্যন্ত প্রিয়, তিনি তার পিতার পরিবর্তে
চাচার পরিবারের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার চাচার পরিবারে সমবয়সী অনেকেই ছিল, যা তার শৈশবকে সঙ্গময় এবং আনন্দময় করে তোলে।
‘গনি' নামটি তার জন্য অত্যন্ত অর্থবহ ছিল। এটি কোরআনে
উল্লিখিত, যা সমৃদ্ধি, স্বনির্ভরতা এবং
স্বাধীনতার প্রতীক। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার নামের শেষাংশ তার পিতা
মাওলানা শরাফত আলীর নামে ‘আলি’ হওয়া উচিত ছিল, তাকে যথার্থভাবে ‘গনি' নামকরণ করা হয়। এই নামই তার ভবিষ্যৎ জীবনের গভীর প্রভাবের পরিচায়ক।
তার শৈশব অনেক চ্যালেঞ্জের
মধ্যে দিয়ে গেছে। মাত্র আড়াই বছর বয়সে মাকে হারানোর কষ্ট তাকে সহ্য করতে হয়।
তার পিতা প্রথমে পুনরায় বিয়ে করতে অনিচ্ছুক ছিলেন, তবে সন্তানের কল্যাণের কথা ভেবে তিনি আত্মীয়স্বজনের চাপের কাছে নতি স্বীকার
করেন।
যদিও তিনি ছিলেন তার পিতার
একমাত্র সন্তান এবং অত্যন্ত প্রিয়, গনি তার চাচার পরিবারে নিজের একটি নতুন পরিবার খুঁজে
পেয়েছিলেন। সেখানে সমবয়সী চাচাতো ভাই-বোনদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি হয়।
তার চাচারা ছিলেন জমিদার, যারা তাকে গ্রামের জীবনের বৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধ
অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত করিয়ে দেন।
এই প্রাকৃতিক এবং স্বাধীন
পরিবেশ, যা আধুনিক সুযোগ-সুবিধাহীন ছিল, কিন্তু উন্নতির জন্য নিরন্তর সংগ্রামে ভরপুর, তার মধ্যে নেতৃত্ব এবং সহনশীলতার গুণাবলিকে প্রখর করে তোলে।