Assembly speech on resettlement of Ex Service Personnel – 29 March 1957
He delivered a compelling and passionate
speech in the legislature, emphasizing the urgent need for the rehabilitation
of 200,000 Bengali soldiers who had returned from World War II. He strongly
advocated for enhancing the facilities and opportunities for ex-servicemen,
inspiring patriotism among the country's youth to safeguard national
sovereignty, identifying current challenges, and proposing innovative and
policy-oriented solutions. His speech in the provincial assembly was notable
for its constructive and forward-looking approach.
He highlighted that during wartime, every
civilized nation has a plan for the rehabilitation of retired soldiers, and in
this context, young men of this country were urgently enlisted into the
military. Therefore, he proposed allocating the war rehabilitation fund of 5.2
million rupees specifically for planning and implementing such initiatives.
Mr. Speaker, Sir,
In every civilized nation, it is observed
that there are plans or programs to re-settle those who leave the military into
civilian life. This is because, during emergencies, when a nation requires it,
young people are enlisted into the military with the understanding that once
the war is over, the government will ensure their re-settlement into civilian
life.
In line with such arrangements, during the
last war, approximately 200,000 individuals from East Pakistan joined the
military. To facilitate their re-settlement after the war, a sum of 5.2 million
rupees was allocated from the Post-War Rehabilitation Fund, obtained from West
Bengal. However, to date, no effective scheme has been implemented to
rehabilitate these 200,000 ex-military personnel.
In contrast, we have observed that in West
Pakistan, a Fauzi Cotton and Textile Mill was established with a budget of 12.5
million rupees. The income from this mill is used to support the re-settlement
of Army Officers, JCOs, and released military personnel. Additionally,
government notices have been issued to all industries and commercial firms
requiring them to allocate 15–25% of their positions to ex-military officers.
In West Pakistan, all development programs prominently advertise the
appointment of ex-military officers, JCOs, other ranks, clerks, and
technicians. During the time of the World War, released military officers were
appointed to the Central Superior Services and Provincial Upper Services.
However, I must express with great regret that, to this day, no effective
scheme has been implemented regarding this matter in East Pakistan.
In West Pakistan, adequate consideration is given
to employing their ex-military personnel. They are treated in a manner that
fosters genuine military activity and maintains a military tempo within the
country. This treatment ensures that, during times of need, citizens are eager
to become national Mujahids. Ex-military officers are treated with the respect
they deserve, keeping this goal in mind.
It is often said that the people of East Pakistan
do not join the military, but no real efforts are made to recruit them. I
submit to you, Sir, that unless a Military School and a Military College are
established in East Pakistan, and unless ex-military personnel are effectively
re-settled in civilian life, no scheme will ever be successful.
Those who defend the nation’s freedom for a mere
salary of 30 rupees, standing unarmed before enemies and guarding the country’s
frontiers to protect it from hostile forces, are treated with utter
indifference. There is a lack of empathy when it comes to increasing their
salaries or resettling them in civilian life. Your hearts are as hard as stone,
devoid of compassion.
Sir, the plight of ex-servicemen in East Pakistan
today is beyond words. Many of them have been reduced to beggars. They are
turned away from wherever they go. I hear that a Commissioner is preparing a
list of these individuals. Through you, Sir, I wish to tell the government that
this approach is not tackling the issue rightly.
By implementing these scattered and
inadequate measures, you are bearing against the force. When an
ex-military man, dressed in rags, comes before you with a begging bowl and says
that his children are starving and dying, what state of mind does that leave us
in? How can we remain indifferent? Some of them were Majors, some were
Captains. If there had been a scheme mandating that 30–40% of positions in
development programs and government services be reserved for retired soldiers,
it would have encouraged the youth of the country to join the military. They
would know that after the war, they could return to civilian life and be
properly re-settled. This would enhance the prestige of military service and
attract more people to it. But our government has done nothing in this regard.
Even the 5.2 million rupees allocated for
this purpose by the government have not been put to any good use. As a result,
suspicion and frustration are growing among the people. The government could
use this fund to establish small-scale and cottage industries to facilitate the
re-settlement of ex-military personnel. These funds could be used to integrate
ex-servicemen into post-war civilian life. By investing this 5.2 million rupees
in industries, it would be possible to re-settle 25,000 to 50,000 ex-military
personnel.
The Finance Minister has allocated funds for
various sectors, but not a single penny has been reserved for the distressed
200,000 ex-servicemen and their families. Not a single coin! For the sake of
the country, for the sake of the people, and for the sake of these 200,000
ex-military men and their families, I urge the government to take immediate
action to create a proper re-settlement plan for these ex-servicemen.
If by the next budget session, you fail to
make arrangements for them—if you cannot reserve 15–20% of jobs in central,
provincial, commercial, and industrial services for them—then when these
200,000 ex-servicemen rise, you will face serious consequences. However, being
from a disciplined sector, they will act within the law. I implore you to pay
attention to the plight of these ex-servicemen now before it is too late.
অবসর প্রাপ্ত সৈনিকদের পুনর্বাসন (বক্তব্যের তারিখ ২৯/৩/১৯৫৭; সময়)
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বেযুদ্ধের ফেরত ২ লক্ষ বাঙালীর সৈন্যের পুনর্বাসনের উপর বিশেষ গুরুত্ত্ব আরোপ করে আইন সভায় জোরালো ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি ex-servicemen দের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করণ, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী তথা
অপেক্ষাকৃত তরুনদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করা, বর্তমান সমস্যাদি চিহ্নিত করণ ও সম্ভাব্য সমাধান শীর্ষক উপায় উদ্ভাবনী ও নীতি নির্ধারনী মূলক এবং সম্পূর্ন গঠন মূলক বক্তব্য প্রাদেশিক সভায় অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধকালীন সময়ে অবসরপ্রাপ্ত
সৈনিকদের প্রত্যেক সভ্য জগতে পুনর্বাসন করার একটি পরিকল্পনা থাকে, সে বন্দোবস্তের প্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে এ দেশের যুবকদের সামরিক বিভাগে ভর্তি করা হয়। এজন্য যুদ্ধের পর যুদ্ধোত্তর পূনর্বাসন তহবিল হতে প্রাপ্ত ৫২ লক্ষ টাকা একাজে পরিকল্প ভাতা করার
প্রস্তাব করেন।
‘Mr. Speaker, Sir, প্রত্যেক সভ্য জগতে দেখা যায়, সামরিক বিভাগ হতে যারা চলে আসে তাদের a civil life এ re-settle করার কিছু Plan/ Program থাকে তার কারন Emergency period এ যখন কোন জাতির প্রয়োজন হয় তখন দেশের
যুবকদের সামরিক বিভাগে নিয়ে আসা হয় এবং গভর্নমেন্টের সাথে একটা বন্দোবস্ত থাকে যে যুদ্ধ শেষ হবার পর civil life তাদের re-settle করা হবে। সেইরকম একটা বন্দোবস্তের উপায় নির্ভর করে গত যুদ্ধের সময় আমাদের পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় ২ লক্ষ লোক
মিলিটারীতে গিয়েছিলো। যুদ্ধের পর তাদের re-settle করার জন্য Post-war Re-habilitation Fund থেকে West Bangal এর কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আজপর্যন্ত একটা effective scheme করে এই ২ লক্ষ Ex-
military কে Re-habilitate করার কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই। আমরা দেখেছি West pakistan এ এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটা Fauzi Cotton and Textile mill করা হয়েছে। সেই Mill এর আয় থেকে Army Officers,
JCO's, released military offiicers দের re-settle করার বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রত্যেক Industry এবং Commercial firm এ গভর্নমেন্ট থেকে notice দেয়া হয়েছে যে, ১৫ - ২৫% বী ex-military officers দের
সেখানে চাকুরি দিতে হবে। West Pakistan এ যত Developments Program আছে সব জায়গায় দস্তরমত advertise করা হয় যে Ex-military officer, JCO and Officer of other ranks, clerks, Technician দের
appoint করা হবে। মহাযুদ্ধের সময় Central superior service এ এবং Provincial upp service released military officer দের appoint করা হতো। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, আজ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে এ সম্মন্ধে কোন
Oeffective scheme করা হয় নাই। West Pakistan কিন্তু তাদের চাকুরি দেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট Consider করা হয়। যথেষ্ট Consider করা হয়। তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয় যাতে দেশের মধ্যে দস্তরমত Military activity and
military tempo জাগতে পারে। লোক প্রয়োজনের সময় যাতে কাওমী মোজাহেদ হবার জন্য আগ্রহশীল হয় তার দিকে লক্ষ রেখে Ex-military officers দের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। পূর্ব - পাকিস্তানের লোক Military তে যায় না বলে বলা হয় কিন্তু তাদের
Military তে নেয়ার কোন চেষ্টা করা হয় না। আমি আপনার কাছে Submit করতে চাই যে, যে পর্যন্ত পূর্ব - পাকিস্তানে একটা Military School একটি Military College না হবে এবং যে পর্যন্ত ex-militarymen দের Civil life এ re-settle
করার বন্দোবস্ত না থাকবে সে পর্যন্ত আমাদের কোন Scheme ই successful হবেনা। যারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ৩০/- টাকা বেতন পেয়ে শক্রুর সামনে বুক পেতে দাড়ায়, দেশকে শত্রুর হাত থেকে বাচাবার জন্য দেশের Frontier- এ গিয়ে দাড়ায় তাদের বেতন বাড়াবার ব্যাপারে তাদের Civil life এ Resettle করার ব্যাপারে আপনাদের হৃদয় পাথরের মত শক্ত, নির্মম। স্যার, আজ পূর্ব পাকিস্তানে Ex servicemen দের যে কি দুর্গতি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারা আজ এক প্রকার ভিখারীতে পরিনত
হয়েছে। যেখানে যার সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। শুনছি Commissioner এদের একটা List করছে। আমি আপনার Through তে গভর্নমেন্টকে বলতে চাই যে এই ভাবে জিনিষটা Rightly tackle করা হচ্ছে না। এই সব ছিটেফোঁটা ব্যবস্থা
করে You are bearing against the force.. চক্ষের সামনে Ex-militarymen বা forn কাপড় ধরে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এসে যখন বলে যে, না খেতে পেরে আমার বাল-বাচ্চা মারা যাচ্ছে তখন মনের অবস্থা কি হয় ? তারা কেউ Major ছিল, কেউ
Captain ছিল। আজ যদি এমন কোন Scheme থাকত যে Development Plan programme এ এবং গভর্নমেন্ট Service এ শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন পূরান সৈনিককে নিতে হবে তাহলে দেশের যুবকদের মিলিটারিতে যাবার একটা উৎসাহ হবে
যে যুদ্ধের পর ফিরে এসে Civil Life এ ভালভাবে Re-settle হতে পারবে। তখন Military service এর আরও ইজ্জত বেড়ে যাবে এবং লোকে এদিকে প্রলুদ্ধ হবে। কিন্তু আমাদের গভর্নমেন্ট এদিকে কিছুই করছে না। এমন কি তাদের নিজেদেরকে ৫২ লক্ষ
টাকা গভর্নমেন্টের কাছে আছে তারও কোন সদ্বব্যাবহার করা হচ্ছে না। ফলে লোকের মনে Suspicion and frustration এসে পড়বে। গভর্নমেন্ট এই টাকা থেকে Small Scale এ Cottage Industry করে তার দ্বারা Ex-military দের Re-
settlement এর ব্যবস্থা করতে পারেন। Post War re-civilment এ Ex-Military দের স্থান করে দিতে পারেন। এই ৫২ লক্ষ টাকা দিয়ে যদি Industry তে খাটান যায় তাহলে ২৫ থেকে ৫০ হাজার Ex-Military কে Re-settle করা যেতে পারে।
Finance Minister মহোদয় সব খাতে টাকা বরাদ্ধ করেছেন কিন্তু এই দুর্গত ২ লক্ষ Ex-Military men দের জন্য এক কপদ্দকও রাখেন নি, এক কানা কড়ি ও রাখেন নাই। আমি দেশের খাতিরে, জনগনের খাতিরে, এই ২ লক্ষ Ex-Military এবং তাদের
পরিবার বর্গের খাতিরে গভর্নমেন্টকে অনুরোধ করছি যে এই Ex-Military দের Re-settle এর জন্য একটা ঝপযবসব করেন। যদি Next Budget session পর্যন্ত এদের কোন ব্যবস্থা আপনারা করতে না পারেন - যদি এদের জন্য Central, Provincial,
Commercial and Industrial, service এ শতকরা ১৫ থেকে ২০ টা চাকুরি Reserve রাখতে না পারেন তাহলে যখন এই ২ লক্ষ Ex-Military উঠে দাঁড়াবে তখন আপনাদের মাথার ঘাম পায়ে পড়বে। তবে তারা Disciplined Sector তারা
যা করবে আইন কানুনের মধ্য দিয়েই করবে। আপনারা এখনও এই Ex-Military দের দিকে নজর দেন।